দেশে এই প্রথম বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে বিলুপ্ত প্রায় সুস্বাদু পুষ্টিসমৃদ্ধ জীবিত দেশীয় মাছের জিন ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। ফলে বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলোর জাত এখন থেকে আর বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
শনিবার সকালে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এর উদ্বোধন করেন।
এছাড়াও মন্ত্রী চলতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের মাঝে পোনা বিতরণসহ বেশ কয়েকটি কার্যক্রমে অংশ নেন।
ময়মনসিংহ থেকে শৈবাল দাসের ক্যামেরায় আরো জানাচ্ছেন সৈয়দ নোমান
সহজেই মাছের সঙ্গে পরিচিত হতে পারা, বিলুপ্ত এবং বিলুপ্তপ্রায় মিঠা পানির মাছ সংরক্ষণের জন্য ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে লাইভ জিনব্যাংক।
২৬০টি মাছের জাতের মধ্যে ইতিমধ্যে এই জিনব্যাংকে ৭০ প্রজাতির মাছ স্থান পেয়েছে। শনিবার সকালে ইনস্টিটিউটের পুকুরে ফিতা কেটে এই জিনব্যাংকের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
পরে মন্ত্রী সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের মাঝে মাছের পোনা বিতরণ করেন।
দেশীয় মাছের এই ল্ভা জিনব্যাংক মৎস্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন মন্ত্রী। আর ভবিষ্যতে সব জাতের মাছই এই জিনব্যাংকে ঠাঁই পাবে জানান ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক।
জিনব্যাংক উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী কুচিয়া ও মুক্তাচাষ প্রকল্পসহ স্বাদুপানি কেন্দ্রের চলমান গবেষণা কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
এছাড়াও কৈ, মনোসেক্স তেলাপিয়া এবং সাদা পাঙ্গাস মাছের জার্মপ্লাজম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।
পরে আলোচনা সভায় সচিব ও মন্ত্রী মৎস্য সম্পদ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানান।
ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন ছিল মাত্র ৮ লাখ মে. টন। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে পরিকল্পনাধীন গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে আরও উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন সম্ভব হলে দেশে আগামী ২০২১ সাল নাগাদ ৪৫ লাখ মে. টন মাছের উৎপাদন হবে।